কেন পাওয়ার ব্যাংক কেনা জরুরি

বর্তমানে পাওয়ার ব্যাংক শুধু একটি প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসই কেবল নয়, বরঞ্চ এটি এখন আধুনিক জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

১। বর্তমান সময়ে একটু ছুটি পেলেই সবাই চলে যায় দূরে, দিগন্তের কাছে। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে একটি পাওয়ার ব্যাংক ও আজ তাই অতি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ হেডফোন, ট্যাবলেট, ক্যামেরা- সবকিছুকেই সচল রাখার জন্য তাই ভ্রমণে প্রতি মুহূর্তে হাতের কাছে পাওয়ার ব্যাংক না থাকলেই নয়।

২। অনলাইনে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গেমস খেলা এখন একটি প্রচলন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গেমসগুলোতে সবসময় অনলাইন থাকা প্রয়োজন, কিন্তু তা থাকতে যেয়ে মোবাইল অথবা ট্যাব এর চার্জ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়, সেই মুহূর্তে এই সব পোর্টেবল ডিভাইসের জন্য প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন চার্জিং ব্যবস্থা যা কিনা পাওয়ার ব্যাংক নিশ্চিত করতে পারে।

৩। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন এখন অনেকটাই ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নির্ভর, আপনার মিউজিক প্লেয়ার, জিপিএস নেভিগেটর, ব্লুটুথ হেডফোন, স্মার্ট ওয়াচ, ফিটনেস ব্যান্ড- এসব গ্যাজেটগুলো সবসময় সচল রাখতে তাই হাতের নাগালে পাওয়ার ব্যাংক রাখাটা জরুরী।

৪। যখন আপনি ট্র্যাফিক জ্যামে, তখন বসে বসে বিরক্ত হয়ে যাওয়া আরো বহুগুণে বেড়ে যেতে পারে যদি ঐ সময় হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যায়। আপনি না পারবেন কারো সাথে যোগাযোগ করে আপনার অবস্থান জানাতে, না পারবেন আপনার মোবাইল ফোনটি চার্জ দিতে, ঠিক তখনই পকেটে যদি একটা পাওয়ার ব্যাংক থাকে, তাহলে একসাথে অনেকগুলো সমস্যা ও দুশ্চিন্তা নিমিষেই দূর হয়ে যায়।

৫। দিন দিন সবার কাছেই ক্যাম্পিং খুব জনপ্রিয় হচ্ছে, প্রকৃতির রূপকে ধরে রাখতে অনেকেই ছবি তুলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে, কিন্তু ক্যাম্পিং এর স্থানগুলো হয় মূলত একটু দুর্গম অঞ্চলে যেখানে  নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে না, তাই তখন প্রয়োজন একটি পাওয়ার ব্যাংকের।

৬। ফটোগ্রাফারদের জন্য ক্যামেরার ব্যাটারি চার্জ করা একটি দৈনন্দিন কাজ, সারাদিনের চলমানতায় পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংকই মোবাইল ফোন অথবা ক্যামেরাকে চার্জ দিয়ে রাখে। কর্মজীবীদের সারাদিনের ব্যাস্ততার মাঝে মোবাইল ফোন চার্জ দেয়ার কথা প্রায়ই মনে থাকে না, তাই অফিস ছুটির পর রাস্তায় বের হলে প্রায়ই চার্জ দেয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তখন হাতের কাছে পাওয়ার ব্যাংক থাকা অনেকটা জরুরী হয়ে পড়ে।

৭। এখন অনেকেই দিনের বেশিরভাগ সময় নিজের অবস্থান এবং কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন ফেইসবুকে, হোয়াটস অ্যাপ, টুইটারে, স্মার্ট ফোনের ক্যামেরায় অসংখ্য ছবি তোলার ফাঁকে কখন যে ফোনের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়- তা অনেকটা মনে থাকে না।  তখনই পাওয়ার ব্যাংকের কথাই সবার আগে মনে পড়ে.

৮। ঝড়-বৃষ্টি,বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে যখন একটানা দীর্ঘ সময়, এমনকি দিন-রাত বিদ্যুৎ থাকে না, তখন পাওয়ার ব্যাংকই পারে আপানার মোবাইল ফোনকে সচল রাখতে।

৯।   ইদানিং ভাল মানের পাওয়ার ব্যাংক গুলো খুব সহজেই পকেটে রেখে চলাফেরা করা যায়। এটি এখন লাইফ স্টাইলের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্মার্ট ডিজাইন, ফাস্ট চার্জিং, এলইডি ফ্ল্যাশলাইট সহ পাওয়ার ব্যাংকগুলো আপনার ফোনটি চার্জ দেয়া বাদেও আরও অনেক সুবধা দেয়।

১০। একের অধিক আউটপুট সমৃদ্ধ পাওয়ার ব্যাংকগুলো অপরিচিত মানুষের সাথেও একটা আন্তরিক যোগাযোগ তৈরি করতে পারে। দীর্ঘ পথযাত্রায়  আপনার পাশের সহযাত্রীর মোবাইল ফোনে চার্জ নাও থাকতে পারে। তখন আপনি চাইলেই আপনার পাওয়ার ব্যাংকটি তাকে দিয়ে একটি আন্তরিক সম্পর্কের সূচনা করতে পারেন।

১১। কোন প্রয়োজনীয় ফোন কল মিস হয়ে যাওয়ার ভয়টা আমাদের থাকে না যদি আমাদের ফোনটিতে সবসময়য় পর্যাপ্ত চার্জ থাকে- যা একটি পাওয়ার ব্যাংকই আপনাকে দিতে পারে।

১২। সঙ্গীতপ্রেমীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ফোনে গান শুনতে চাইতেই পারে, কিন্তু বাধ সাধে ফোনের চার্জ। একটি পাওয়ার ব্যাংক থাকলে আপনি চাইলে নিশ্চিন্ত ভাবে আপনি আপানার পছন্দের টিউনে মগ্ন থাকতে পারেন।